প্রকাশিত: ১৮/০১/২০১৭ ৮:১৫ এএম

মহেশখালী প্রতিনিধি::
মহেশখালীতে সপ্তম শ্রেণির এক কিশোরীর বাল্যবিবাহ ভেস্তে গেছে প্রশাসনের উদ্যোগে। উপজেলার পৌর এলাকায় গতকাল ১৭ জানুয়ারি এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আবুল কালাম কিশোরীকে উদ্ধার করেন। পরে ইউএনও এর অনুরোধে ওই মেয়ের বাবা-মা বিয়ে ভেঙে দিয়ে তাকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে রাজি হন। ফলে বিয়ের পিঁড়ি থেকে আবার লেখাপড়ায় ফিরতে পারল সে। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, মহেশখালীতে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ফ্রেব’ এর পরিচালক ফরিদুল আলমের মাধ্যমে বাল্য বিবাহের সংবাদ পেয়ে গতকাল ১৭ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় মহেশখালীর পৌর এলাকার গোরকঘাটার একটি পরিবারে আয়োজিত ১৩ বছর বয়সী এক বালিকার বিয়ে বন্ধে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি মেয়েটির পিতা-মাতার সাথে কথা বলে বাল্য বিবাহের আয়োজনের সত্যতা পান। তিনি বলেন, কিশোরীর মা-বাবাকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, সদ্য সপ্তম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত বাল্যবিবাহের শিকার হতে যাওয়া মেয়েটির শিক্ষা, নিরাপত্তা, জীবনধারনের অধিকার কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা কারো নেই। তিনি মেয়েটির পড়ালেখার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে বলেন, বাল্যবিবাহ নতুন দারিদ্র?তার সৃষ্টি করে। তিনি কিশোরীকে এ বয়সে বিয়ে না দিতে তাঁর মা-বাবার প্রতি নির্দেশ দেন। ইউএনও’র আহবানে সাড়া দিয়ে ওই এলাকার হাজী ইমাম শরীফের পুত্র আব্দুর রহিম বাদশা মেয়েটির পড়ালেখার ও উপযুক্ত হলে বিবাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার পালন করার ওয়াদা করেন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে মহেশখালির ইউএনও মো: আবুল কালাম মহেশখালীতে যোগদানের পর থেকে কমপক্ষে ৪০টি বাল্যবিবাহ বন্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন। অভিযানের সময় মানবাধিকার সংস্থা ফ্রেব এর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদুল আলম, সমাজ সর্দার আব্দুর রহিম বাশা ও বশির উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত

মা ও মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নুরুন্নাহার বেগম ৪৪ ...